ফিশফ্রাই - জিৎ চন্দ্র
“ভেবেছেন কী আপনি? যা খুশি তাই করবেন? লজ্জা করে না আপনার? এই বুড়ো বয়েসেও এতটুকু দায়িত্ববোধ নেই! শুনুন, এই আপনাকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি। আর একদিন এইরকম গাফিলতি দেখলে… আর একটা কথা মনে রাখবেন, এখানে আপনি রয়েছেন আপনার প্রয়োজনে, আমার নয়। দশটা ছেলে এখানে এমনিতেই ঘুরঘুর করছে কাজের জন্য, সুতরাং…”
বিশুর কথাগুলো সারা রাস্তাতেই মাথায় পাক খেতে লাগল শৈলেশের। শুনশান রাস্তা। এখন রাত এগারোটা কুড়ি। হাতঘড়িটা চোখের সামনে তুলে এইমাত্রই সময় দেখেছে। সামনে যতখানি দেখা যায়, রাস্তাটায় জনমানুষ নেই। ডানদিকের ল্যাম্পপোস্টের নিচে চার পাঁচটা নেড়ি শুয়ে বসে ছিল। শৈলেশের সাইকেলটার প্যাডেলের ক্যাঁচক্যাঁচ আর্তনাদে তাদের মধ্যে থেকে একটা কুকুর অলস ভঙ্গিতে সাড়া দিল, ভুক ভুক। প্যাডেলে চাপ বাড়াল শৈলেশ। আজ দশ মিনিট বেশিই দেরি হয়ে গেছে। চিত্রার সঙ্গে সঙ্গে বুল্টিটাও না খেয়ে বসে থাকে ওর জন্য। এখনো মিনিট পনেরোর রাস্তা।
খুব বকুনি খেতে হল আজ বিশুর কাছে। দোষটা তারই। না, ঠিক দোষ বলা যায় না। ভুল। ভুল শৈলেশেরই। মতিবাগানের ঠিকানার পার্সেলটা দিয়ে ফেলেছিল শিবু দত্ত লেনের বিশ্বরূপ হালদারের বাড়িতে। মতিবাগানের দিকে বেশ খানিকটা চলে যাওয়ার পর পকেটের মোবাইলটা বেজে উঠেছিল। ফোন ধরতেই বিশুর খ্যাঁকানি, “কী করেছেন শৈলকাকা? চাউমিনটা আপনি শিবু দত্ত লেনে দিয়েছেন কেন? ওখানে তো মোগলাইটা যাবে?” “এঃ হে, বড্ড ভুল হয়ে গেছে বাবা। ঠিক আছে, যাচ্ছি আমি। চেঞ্জ করে দিচ্ছি”। উত্তরে বিশু যেটা বলল, তাতে শৈলেশ বেশ ভালই বুঝল, নেহাত বাপের বয়সী বলে কাঁচা খিস্তিটা আর খেতে হল না।
এইসব করে ফিরে আসতে দেরি হয়ে গেল, আর বিশু আরেক হাত নিল। একটা অর্ডার নাকি ক্যানসেল করে দিতে হয়েছে ডেলিভারির লোক নেই বলে। ন্যাপলাও ছিল না। পাঁচটা অর্ডার নিয়ে বেরিয়েছিল।
ব্যাগ থেকে প্যাকেটটা চিত্রার হাতে বের করে দিয়ে কলঘরে ঢুকল শৈলেশ। ফ্রায়েড রাইসটা আজ শেষের দিকে একটু গন্ধ হয়ে গিয়েছিল। খদ্দেরকে দেওয়া যায় নি। মন্টু প্যাকেটের মধ্যে দুচামচ দিয়ে দিয়েছে। তবে আজ ফিশফ্রাইয়ের গুঁড়োগুলো ন্যাপলাই পেয়েছে।
রাতে বিছানায় শুয়ে অন্ধকারের দিকে তাকিয়েছিল শৈলেশ। বিশুর বকুনিগুলো এখন বুকে বড় বাজছে। শত হলেও ওর বাপের বয়সী তো শৈলেশ। বাইরের পাঁচজনের সামনে এতটা রুঢ় না হলেই কি পারত না সে? সবই শৈলেশের কপাল। তা না হলে আর কী? দিব্যি তো চলে যাচ্ছিল সব। লোকাল ট্রেনে হজমিগুলি, আনারদানা, জোয়ান, আমলকির ক্যানভাসার ছিল শৈলেশ সাঁতরা। দীর্ঘ বাইশ বছর। বেশ পরিচিত মুখের ক্যানভাসার হয়ে উঠেছিল। জলট্যাঙ্কির পাশে ওই বিজু সাহুর কাছ থেকে রেগুলার মাল নিয়ে আগেরদিনের বিক্রিবাটার হিসেব দিয়ে এগারোটা পাঁচের ডাউন দিয়ে দিন শুরু করত শৈলেশ। সপ্তাহে ছদিন। রোদ, ঝড় জল – কোনো কামাই নেই। রাত পৌনে দশটার আপ দিয়ে শেষ। কত নতুন নতুন ছেলে এল এ লাইনে। ক’জনই বা টিকে থাকতে পারল। সব কোথায় হারিয়ে গেল। কিন্তু শৈলেশ? আজ এত বছর ধরে নিষ্ঠা, শ্রম, আনুগত্য আর সততা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকল এই সেদিন পর্যন্ত। বিজু সাহুও পছন্দ করতেন শৈলেশকে। অনেকক্ষেত্রে ওর মতামতকে গুরুত্বও দিতেন। অনেক ছেলেকে শৈলেশের সুপারিশেই নতুন রিক্রুট করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কাজ শিখেছে, লাইনে থেকে গেছে। আবার অনেকে কিছুদিন পরেই ভাগলবা।
শৈলেশের মনে পড়ছে রাজু নামের ছেলেটিকে। দু’দিন তাকে ট্রেনের কামরায় দেখেছিল লজেন্স নিয়ে। মুখচেনা ছেলে। এই কার্তিকগঞ্জে শৈলেশের বাড়ির কাছাকাছি, মণ্ডলপুকুর কলোনিতে থাকে। একদিন শৈলেশকে বলেছিল, “কাকা, তোমার ওখানে একটা কাজ দাও না। খুব অসুবিধে যাচ্ছে”। বিজু সাহুকে বলেছিল শৈলেশ। কাজটাও হয়ে গিয়েছিল রাজুর। কিছুদিন পর একদিন হেব্বি ঝামেলা। ভিড় ট্রেনে নাকি পকেটমারি হয়ে গেছে রাজুর। মাল বিক্রির সব টাকা গেছে। বিজু সাহু তো কিছুতেই বিশ্বাস করবে না। লাগিয়েছিল এক চড়। শৈলেশই মধ্যস্থতা করে ঝামেলা মিটিয়েছিল। কাজটা হারাতে হয়নি রাজুকে। অনেক পরে কে যেন শৈলেশকে বলেছিল, ছেলেটা ভাল নয়। একটু হাতটান আছে। যাই হোক, আর কোনো ঝুট ঝামেলা হয়নি। মাস ছয়েক পর রাজু নিজেই কাজ ছেড়ে দিয়েছিল। বহুদিন বাদে এই সেদিন একটা ডেলিভারি দিয়ে ফেরার সময় ছেলেটাকে এই রেস্টুর্যান্টের কাছেই একদিন দেখেছিল। ডাকার আগেই অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।
হাবিজাবি কত ঘটনা ক্যানভাসার শৈলেশের স্মৃতির ক্যানভাসে জমা হয়ে আছে । তারপর এল এই মারণ ভাইরাস। লকডাউন। থেমে গেল ট্রেনের চাকা। বন্ধ হয়ে গেল গেল কত লোকের রুটি রুজির পথ। চারিদিকে তখন মৃত্যুমিছিল, হাহাকার, ভীতি। শৈলেশ আর চিত্রাও ভয় পেয়ে গিয়েছিল। শৈলেশের চাকরি চলে গেছে তখন। ঘরে বিকলাঙ্গ মেয়ে, বুল্টি। চলবে কি করে ওদের? কিছুদিন পর জমানো খুদকুঁড়োও তলানিতে। শৈলেশ গিয়ে ধরে পড়ল কাউন্সিলার মাখন বাঁড়ুজ্জেকে, “একটা কাজ জুটিয়ে দিন দাদা। এবার না খেয়ে মারা পড়ব”। সেই মাখন বাঁড়ুজ্জেই এই রেস্টুর্যান্টের কাজটার ব্যাবস্থা করে দিয়েছিল। লকডাউন উঠে গিয়ে ধীরে ধীরে হোটেল রেস্টুর্যান্টগুলো খুলতে শুরু করছিল তখন। বসে খাবার খদ্দের নেই। সব হোম ডেলিভারি। শৈলেশকে খাবার ডেলিভারি দেবার কাজ দেওয়া হল। বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে দশটা এগারোটা। নতুন কর্মক্ষেত্রে প্রথম প্রথম একটু অসুবিধে হচ্ছিল। সময় বেঁধে কাজ। এতটা সাইকেল চালানোরও অভ্যেস নেই। ট্রেন চালু হলেও বিজু সাহু ব্যাবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই এই রেস্টুর্যান্টটাতেই লেগে থাকার চেষ্টা করে যেতে থাকল শৈলেশ। বেশ পুরোনো এই রেস্টুর্যান্টটা। বিশুর বাবার আমলের। বেশ নামকরা। অনেক দূর থেকেও অর্ডার আসে। আর বিশুও ব্যাবসাটা করে মনপ্রাণ ঢেলে। অনলাইন ফুড ডেলিভারির যুগেও বেশ রমরম করেই চলে।
আবার এল দ্বিতীয় ঢেউ। আবার সব বন্ধ হয়ে গেল কিছুদিনের জন্য। এই সময়টাতে কিছুদিন খুব অসুবিধেয় পড়েছিল শৈলেশ। ভাগ্য ভাল যে, আবার সব খুলতে শুরু করল। তবে এবার আবার কাজে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশু একটু গাঁইগুঁই করেছিল, “না শৈলকাকা। ব্যাবসাপাতি ভাল নয়। খদ্দের নেই। আমি আর এতজনকে রাখতে পারব না। তার ওপর আপনার বয়স হয়েছে। এই সব কাজে চটপটে ছেলে ছোকরা দরকার”। শৈলেশ অনেক অনুনয় বিনয় করে সেদিন কাজটা জোগাড় করেছিল বটে, তবে আজ বিশুর চোটপাট দেখে বেশ চিন্তায়ই পড়ে গেল।
পুজো এসে গেল প্রায়। তবে বর্ষা বিদায় নেয়নি এখনো। মাঝে মাঝেই কদিনের টানা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। এরই মধ্যে বিশু রেস্টুর্যান্টটাকে রেনোভেট করছে। ক্যাশ কাউন্টারটাকে কাচের আবরণে ঢাকা হচ্ছে। আরও বেশ কিছু পরিবর্তন করা হবে।
দু’দিন ধরে মাথাটা ভার হয়ে আছে শৈলেশের। সঙ্গে হালকা জ্বরও রয়েছে বোধহয়। সেদিন একটা অর্ডার ডেলিভারি দিতে গিয়ে খুব ভিজতে হয়েছিল। কিন্তু এই জ্বরের কথাটা ওখানে বলা যাবে না। বললেই হয়তো ছাঁটাই করে দেবে। এই সময়ের জ্বর তো, সবাই ভয় পেয়ে যাবে।
আপাতত দুটো ডেলিভারি আছে। সাত নম্বর খগেন মিত্তির লেনে তিনটে মিক্সড চাউমিন আর বেনেপাড়া রোডে দুটো এগ ফ্রায়েড রাইস আর চিলি চিকেন। সাইকেলের দুই হ্যান্ডেলে দুটো ব্যাগ ঝুলিয়ে শৈলেশ রওনা দিল। উত্তর পশ্চিম আকাশে বিদ্যুৎ ঝিলিক দিচ্ছে। রাতে বোধহয় ঢালবে। সাইকেল চালাতে সামান্য হাঁফ ধরে যাচ্ছে আজ। তবে মনটা বারবার ফিরে যাচ্ছে মন্টুর কথাগুলোয়। আজ নাকি ফিশফ্রাই ভাজার সময় একপিস ধুলোয় পড়ে ভেঙে গেছে। বিশু ফেলে দিতে বললেও মন্টু আড়ালে তুলে রেখেছে। বলেছে, “কাকা, আজ বাড়ি যাবার সময় তোমাকে দিয়ে দেব। কাউকে বোলো না”। বুল্টি আজ খুব খুশি হবে।
পল্টনগেটটা সবে পেরিয়েছে শৈলেশ। সামনেই একটা বাঁহাতি বাঁক। তারপরেই কালভার্ট। বিপদটা ঘটল ঠিক সেখানেই। বাঁকটা সবে ঘুরেছে, এমন সময় উল্টোদিক থেকে একটা বাইকের আলো এসে পড়ল। ডিপ ফোকাস। চোখদুটো ধাঁধিয়ে গেল একেবারে। বাইকটা পাশ কাটিয়ে চলে গেল। শৈলেশ চোখটা কুঁচকে নিয়ে ঠিক চাকার সামনেই দেখল একটা সাদা কাপড়। একটা বুড়ি। টালটা আর সামলানো গেল না। হ্যান্ডেলটা বেঁকে গিয়ে সাইকেলটা সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারল কালভার্টের কংক্রিটের রেলিংয়ে। ছিটকে পড়ল শৈলেশ। রেলিংয়ে মুখটা ঠুকে গেল। হাঁটুর কাছটাও জ্বালা করে উঠল।
আশপাশ থেকে ছুটে আসা কয়েকটি ছেলের সাহায্যে যখন উঠে দাঁড়াল শৈলেশ, তখন ঠোঁটের পাশ থেকে রক্ত গড়িয়ে এসে কাপড়ের মাস্কটাকে ভিজিয়ে দিয়েছে। বাঁ কানটাও ছড়ে গেছে। হাঁটুর কাছটাও একটু ভিজে ভিজে। আর ব্যাগ থেকে খাবারের প্যাকেট আর অ্যালুমিনিয়মের ফয়েলগুলো ছিঁড়ে ফেটে সমস্ত খাবার রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে আছে।
আবার রেস্টুর্যান্টে ফিরে আসতেই হল শৈলেশকে। সব শুনে বিশু আশ্চর্যজনকভাবে চুপ করে থাকল কিছুক্ষণ। তারপর প্রচণ্ড গম্ভীরভাবে বলল, “ঠিক আছে। আপনি আজকে বাড়ি যান। মন্টু, তোর হাত তো এখন ফাঁকা আছে। যা, মাল দুটো ডেলিভারি করে আয়”। মন্টু আবার খাবার প্যাক করে ওর সাইকেলটা নিয়ে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ল।
রাতে জ্বরটা বেড়েছিল। গা হাত পায়ে ব্যাথাও হয়েছিল খুব। বিশু ছেলেটা এমনিতে বোধহয় ভালই। কাল কিছুক্ষণ বসে থেকে জল টল দিয়ে ক্ষত জায়গাগুলো ধুয়ে শৈলেশ যখন বাড়ি চলে আসছে, বিশু ওর হাতে দশটা টাকা দিয়ে বলেছিল, “যাবার সময় ব্যান্ড এড কিনে নেবেন”।
বিকেলের দিকে শরীর খুব একটা ভাল না থাকলেও শৈলেশ সাইকেলটা নিয়ে টুকটুক করে রেস্টুর্যান্টে এল। মিনিট পনেরো আগেই এল। কাল অত লস করিয়ে দিয়েছে, ভেতরে ভেতরে কোথাও একটু কুন্ঠাবোধ ছিলই।
কাঠের মিস্ত্রির কাজ চলছে দোকানের সামনের দিকে। ভেতরে মন্টু চিকেন পকোড়া ভাজতে শুরু করেছে। শৈলেশ সাইকেলটা পাশের গলিতে হেলান দিয়ে রেখে এসে দোকানে ঢুকতে যাবে, এমন সময় ভেতর থেকে বিশু বলে উঠল, “শৈলকাকা, আপনাকে আর আসতে হবে না। এখন বাড়িতে রেস্ট নিন’।
শৈলেশ বলল, “না গো বিশু, এখন একদম ঠিক আছি। শরীরে কোথাও ব্যাথা বেদনা নেই। এই তো দেখ না, কাল তোমার কাকিমা…”
“না কাকা’, বিশুর গলা যথেষ্ট নরম কিন্তু বেশ গম্ভীর, “আমি আপাতত আপনাকে আর রাখতে পারছি না। পুজোর সময় দোকানে চাপ বাড়বে। আপনাকে দিয়ে এই সময়… আপনি মাস পড়লে আপনার পাওনাগণ্ডা বুঝে নিয়ে যাবেন”।
মাথাটা টলে উঠল শৈলেশের। জ্বরটা কি আবার বাড়ল? ধীরে ধীরে পাশের গলিতে গিয়ে সাইকেলটা নিয়ে হাঁটতে লাগলেন। সাইকেলে ওঠার ক্ষমতাও নেই যেন। তাই ওটাতে ভর দিয়েই হাঁটতে লাগলেন শৈলেশ।
দু’চার পা এগোবার পর পেছন থেকে মন্টুর গলা শুনতে পেলেন, “ও কাকা”।
দাঁড়িয়ে পড়তেই মন্টু ছুটতে ছুটতে কাছে এল। হাতে একটা ছোট্ট প্যাকেট।
“বাড়ি যাচ্ছ?”
“আর কোথায় যাব বল? আমার তো ছুটি হয়ে গেল”।
“হ্যাঁ কাকা। বিশুদা তো নতুন লোক নিয়েছে আপনার জায়গায়”।
“ও”।
“আপনাদের ওদিকেই থাকে। নাম রাজু। চেনেন?”
খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে শৈলেশ বলল, “কি জানি!”
“যাক গে, যা হবার তা হয়ে গেছে। এই প্যাকেটটা ধরুন”।
“কি আছে এতে?”
“কাল থেকে ফ্রিজে রেখে দিয়েছি আপনার জন্য। ফিশফ্রাই। আপনার মেয়ে ভালবাসে বলছিলেন না?”
শৈলেশের চোখদুটো ঝাপসা হয়ে গেল। প্যাকেটটা সাইকেলের হ্যান্ডেলে ঝুলিয়ে আবার হাঁটতে লাগলেন।
বুল্টি হয়তো সত্যিই খুব খুশি হবে।
Bio :
জিৎ চন্দ্র , জন্ম ১৯৮৪ সালের ১৭ই জানুয়ারী, হুগলী জেলার চন্দননগরে। কানাইলাল বিদ্যামন্দিরে স্কুলজীবন কাটিয়ে কেমিস্ট্রি অনার্স নিয়ে চন্দননগর দুপ্লে কলেজ থেকে স্নাতক। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে আধিকারিক হিসেবে কর্মরত। অবসরযাপনের প্রিয় উপায় – বইপড়া, লেখালেখি আর আঁকাজোকা। লেখালেখি শুরু বছর চারেক। বেশ কয়েকটি পত্রপত্রিকায় লেখক হিসেবে ছাপার অক্ষরে নাম (ছদ্মনাম) দেখার সৌভাগ্য ঘটেছে ইতিমধ্যে।