• Facebook
  • Instagram
  • Twitter
Thursday, December 29, 2022
  • Login
  • Home
  • Archives
    • Archives
    • The Indian Rover ( Issue: December, 2022)
    • The Indian Rover (Issue: October, 2022)
    • The Indian Rover (Issue: June, 2022)
    • The Indian Rover (Issue: March, 2022)
    • The Indian Rover (Issue: December, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: November, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: October, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: September, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: August, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: July, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: June, 2021)​
    • The Indian Rover (Issue: May, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: April, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: March, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: Feb, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: Jan, 2021)
  • Categories
    • Finance
    • Science
    • Sports
    • Non Fiction
  • About
  • Contact Us
  • Submit Guest Post
    • Login
    • Account
    • Dashboard
  • Announcement
No Result
View All Result
The Indian Rover
Advertisement
  • Home
  • Archives
    • Archives
    • The Indian Rover ( Issue: December, 2022)
    • The Indian Rover (Issue: October, 2022)
    • The Indian Rover (Issue: June, 2022)
    • The Indian Rover (Issue: March, 2022)
    • The Indian Rover (Issue: December, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: November, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: October, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: September, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: August, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: July, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: June, 2021)​
    • The Indian Rover (Issue: May, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: April, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: March, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: Feb, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: Jan, 2021)
  • Categories
    • Finance
    • Science
    • Sports
    • Non Fiction
  • About
  • Contact Us
  • Submit Guest Post
    • Login
    • Account
    • Dashboard
  • Announcement
No Result
View All Result
The Indian Rover
No Result
View All Result
Home Magazine fiction

মণিমা –  শাশ্বতী রায়

Tirtha by Tirtha
July 1, 2022
in fiction, Magazine
0
0
SHARES
38
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

The Indian Rover (Issue: June, 2022)

মণিমা -  শাশ্বতী রায়

এ কেমন আঁধার! কেউ কোথাও নেই কেন? রাস্তায় কি তিনি একা! বৃষ্টিতে যেন ধুয়ে গেছে চারিদিক, মাটির উপর সাদা  হয়ে ফুটে আছে চাঁদফুল জ্যোৎস্না। এমন আলোয় নাকছাবি পড়ে গেলেও, খুঁজে নেওয়া যায়। কিন্তু তিনি তো নাকছাবি খুঁজছেন না! তিনি অন্যকিছু খুঁজছেন, যার খোঁজে এসেছেন এইখানে!

 বহুদূর থেকে কেউ যেন গমগমে গলায় কোন সংস্কৃত শ্লোক পাঠ করছে, পরিষ্কার শোনা যাচ্ছে সব,

       “ যঃ কৌমারহরঃ স এব হি বরস্তা এব চৈত্রক্ষপাস্তে চোন্মীলিতমালতীসুরভয়ঃ প্রৌঢ়াঃ কদম্বানীলাঃ।

     সা চৈবাস্মি তথাপি তত্র সুরতব্যাপারলীলাবিধৌ রেবারোধসি বেতসীতরুতলে চেতঃ সমুৎকন্ঠতে।।

                                                                                                      ( শ্রীশ্রী চৈতন্যচরিতামৃত)

 চেনা, প্রতিটি শব্দ, তবু এখন শ্লোকেও মন নেই তাঁর। তিনি মাটির দিকে তাকিয়ে খুঁজে চলেছেন চাকার দাগ। রথের চাকা। হঠাত কোথা থেকে সারি সারি লোক ছুটে এলো। তাঁকে ধাক্কা দিয়ে চলে যাচ্ছে। তিনি মাথা চেপে বসে পড়েছেন। পায়ের শব্দ , অজস্র পায়ের শব্দ, ঘাড়ে মাথায় পিঠে অজস্র আঘাত, তিনি শুয়ে পড়েছেন রাস্তায়। চিবুক যেখানে ঠেকেছে, সেই রাস্তায় গভীর লম্বা দাগ,অনেকটা ভারী চাকা গড়িয়ে যাবার মত। তিনি অস্ফুটে উচ্চারণ করলেন ‘’মণিমা’। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ল দু ফোঁটা জল।

  • কি হয়েছে , মাসি! কষ্ট হচ্ছে? কোথায় কষ্ট হচ্ছে বল? জল খাবে? জল?

বহুকষ্টে চোখ খুলে তাকালেন বৃদ্ধা, রাঙা টকটকে দুচোখ। কিছু বললেন বোধ হয়। বোঝা গেলো না। ঘড়ঘড়ে আওয়াজ হল শুধু। কী যে বিপদে পড়েছে আভা। জানা নেই শোনা নেই, কোথা থেকে এক অসুস্থ মানুষ ভিজে চুপ্পুস হয়ে এসে , তারই বারান্দায় শুয়ে রইল। এই ঘোর বর্ষায়, আশ্রয়প্রার্থী কুকুর বেড়ালকেই  গৃহস্ত তাড়াতে পারে না, এ তো একজন জলজ্যান্ত মানুষ।

-একী! কি করছ মাসি! কোথায় যাবে এই অবস্থায়!

   শিশুর মতন অবুঝ হাসিটা আবার হাসলেন শ্যামা। এই হাসি হাসতেন আভার মাও, সে আজ কতদিনের কথা।

  • যেতে হবে রে মেয়ে! রাজার রাজা আজ পথে নেমেছেন। দুহাত বাড়ায়ে ছুটে আসছেন, আমার মত বঞ্চিতকে কোল দিতে। বসে থাকলে কি চলে রে মা?
  • চুপ করে শুয়ে থাকো, এখনও উঠে দাঁড়ানোর মত অবস্থা হয় নি তোমার।

ওঘর থেকে কেঁদে ওঠে বুবু, বহুকষ্টে মেয়েকে ঘুম পাড়িয়েছিল আভা। ছুটল তৎক্ষণাৎ। যেতে যেতে বলে গেলো, 

  • দুদিন বেহুঁশ হয়ে ছিলে , সে খেয়াল আছে! রথ তো চলে গেলো দোরগোড়া দিয়ে!

শ্যামা কি কালা হয়ে গেলেন! ঠিক শুনলেন তো! দেখা হবে না! এবারও দেখা হবে না তোমার সাথে! কত আশা করে কত পথ পার হয়ে আসা! সারা জীবনের তিলতিল সঞ্চয়ে জোগাড় করা একমুঠো পাথেয়, কত অপমান, কত অনাদরের এ জীবন !এটুকুই তো বাসনা ছিল। একবার তাঁকে রথের উপর দেখা। রথের রশিখানি মাথায় ঠেকানো! সেটুকুও হবে না! মাথাটা ঘুরে উঠল যেন, সারা শরীর কাঁপিয়ে এলো অশরীরি শীত। কত উত্তাপ! তোমার বিরহে কত উত্তাপে জ্বলে দেহ! প্রদীপ হও শ্যামা! জ্বলে উঠুক সকল অনাবৃত পাপ। বড় পাপ হে!

কত বয়স হবে তখন, আট কি নয়। বাবার হাত ধরে প্রথম দেখা রথের ঠাকুর। মাহেশের রথ। সামনে কত উঁচু উঁচু মাথা, শ্যামার ক্ষুদ্র উচ্চতা অনুমতি দেয় না রথে আসীন তিন ভাইবোনের  রাজকীয় মুর্তি দর্শন করার। তার মধ্যে বাবার হাত ছাড়িয়ে গেল অসাবধানে। ভীত বিহ্বল চাহনিতে ‘’ আমার বাবা কই, বাবাকে পাচ্ছিনা কেন’’ করেই  কেঁদে গেল মেয়েটি সেদিন! অলক্ষ্যে কি মুখ টিপে হেসেছিলেন কেউ?

  • সালটা ১৩৯৬। ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী নীলাচলে ঠাকুর জগন্নাথকে নিজে হাতে ভোগ রেঁধে খাওয়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাননি। ব্যার্থমনোরথ হয়ে তিনি অনশনে প্রাণত্যাগ করার সংকল্প করেন।
  • তারপর কি হল বাবা? তিনি কি সত্যি সত্যি-
  • নারে মা, তাই কখনো হয়, জগন্নাথ স্বয়ং এলেন স্বপ্নে, এখানে মন্দির প্রতিষ্ঠা করার আদেশ দিলেন।
  • পুরীর মন্দিরেও কি এমন ঠাকুর , বাবা!
  • একদমই তাই। লোকে বলে , এই মূর্তি তৈরির কাঠ ও নাকি ভেসে এসেছে গঙ্গায়। স্বয়ং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এসেছিলেন মাহেশের জগন্নাথ দর্শনে। দারুব্রহ্ম দর্শনে সমাধিতে ডুবলেন সচল জগন্নাথ।নিজের শিষ্য কমলাকর পিপ্লাইকে দিলেন সেবা পূজার ভার। তখন থেকেই হয়ে আসছে মাহেশের রথযাত্রা।

বাবার গল্পে বারে বারেই ফিরে ফিরে আসেন মহাপ্রভু শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য। চেনা যায় না ধরা যায় না , এক অনির্বচনিয় সত্ত্বা। দুবাহুতে সমর্পন আলোর মত লেগে থাকে। নৃত্যরত রথের সামনে, দুচোখে বয়ে যায় গঙ্গা , যমুনা অমৃত ধারা। না , দুঃখের নয়, আনন্দের-

‘’ সেই তো পরাণ নাথ পাইলু

  যাঁহা লাগি মদন-দহনে ঝুরি গেলুঁ।।‘’

প্রাণনাথকে পেলে চোখে কেন জল আসবে, বোঝার সময় হয়নি তখনও। বোঝাতে এলেন গৌরদাসী,এক আধা পাগল বৈষ্ণবী। কেন্দুলীর মেলা থেকে তাঁকে নিয়ে এসেছিল হীরুকাকা। অল্প কয়েকদিন ছিল দুটিতে ঘর বেঁধে। তারপরে দুজনেই উধাও হয়ে যায়। গ্রামে বহুদিন ধরে চলে বৈষ্ণবীর রূপের কথকতা। শ্যামার জন্য গৌরদাসী রেখে গেছেন দু কলি গান,

‘’ ওগো আমার গৌর সোনা 

মোর সাধে যেন বাঁধ সেধোনা’’

এই গানটাই শ্যামাকে বেঁধে ফেলল আষ্টেপৃষ্ঠে। ভোরে ,বাড়ির কেউ তখনও জাগেনি তেমন, শ্যামা পড়ার বই নিয়ে জানলার ধারের টেবিল চেয়ারে বসে পড়ার ছলে। কাঠের গেটের ধারে গাছ ঝাঁপিয়ে টগর, টুপটাপ খসে পড়ে গন্ধরাজ, তাঁর শেষ সুবাস টুকু বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে। কে এক উদাসীন সোনার মানুষ, তাঁর সকল পান্ডিত্য , প্রতিষ্ঠা, যৌবন হেলায় ভাসিয়ে দিয়ে প্রেম ভিখারী হয়ে কেঁদে বেড়ান পথে প্রান্তরে। গৌরদাসী গুণ গুনিয়ে ফুল তোলে, সেই গানের সুরে , সেই ফুলের মালা, বরমালা হয়ে এক সদ্য কিশোরীর হাতে চিরস্থায়ী হয় কন্যা কুমারীর মত।

ভেবেই পায়না, কে সেই সোনার গৌর, যার জন্য যুগে যুগে ঘর ছাড়ে পাগল প্রেমিকের দল। আবদার জোড়ে,’’ বল না মাসি তাঁর কথা!’’

সদ্য স্নান সেরে এসেছে সে রূপসী বৈষ্ণবী, ভেজা এলো চুলের জল চুইয়ে ভিজে ওঠে কুসুম রঙা আঁচল। শরীরে সদ্য ঘুম ভাঙা চন্দনী  অলকা তিলকা, ঘোর লাগা চোখে চেয়ে থাকে আর গান শোনে,

‘’পহেলহি রাগ নয়ন ভঙ্গ ভেল’’

মাঝে মাঝে গান থামিয়ে রূপকথা বলেন গৌরদাসী।

‘’সে রাজার ভারী ইচ্ছে একটি বার যদি তাঁকে আপন করেন প্রাণগৌর।তথাপি মুখোমুখি হন না কখনো, সন্ন্যাস ব্রত পালনে কঠোর  শ্রীচৈতন্যদেব, রাজদর্শনে অনাগ্রহী।তবু হার মানতে হল নিরভিমান প্রত্যাশাহীন কর্মের কাছে। নয়তো কোন দেশের রাজা নিজের হাতে ঝাড়ু নিয়ে রাজাধিরাজের যাত্রাপথ মালিন্যমুক্ত  করেন!যে পথে পান্ডুবিজয়ে যাবেন জগতের নাথ, সেই পথ ঝাড়ু দেন নগরাধিপ।

‘’বলিষ্ঠ দয়িতাগন যেন মত্ত হাথী

জগন্নাথ বিজয় করায় করি হাতাহাতি।‘’

‘’…মহাপ্রভু ‘মণিমা’ বলি করে উচ্চধ্বনি

নানা বাদ্য কোলাহল কিছুই না শুনি’’

মহাপ্রভুর সেই ‘মণিমা’ দর্শনের আশায় কত পথ পার হয়ে এলেন শ্যামা। যাত্রা পথ বড় বন্ধুর। সারাজীবন চলেই গেল, পৌঁছান হল না কোন ঠিকানায়! বিয়ে দিয়েছিলেন বাবা, সেই কোন ছোট বয়সে, সতেরো হবে তখন। বয়সে অনেক বড় স্বামী, ঝানু ব্যাবসায়ী। ছয় মাস যেতে না যেতেই ফিরিয়ে দিয়ে গেলো তাঁকে, এমন শীতল বৌ তাঁর পোষাবে না। শয্যায় চোখ বুজে কাঠ হয়ে পড়ে থাকে, যেন মৃতদেহ।বাবা স্নেহের হাত রাখলেন মাথায়, শ্যামা কাঁদল অঝোরে, সে তো কাউকে বোঝাতে পারে না, ফুল খেলার দিনে , সে মন সমর্পন করে বসে আছে অন্য কোথাও, এখন মনহীন দেহ তো নিষ্প্রাণ ই হবে।

‘’ওগো আমার গৌর সোনা, মোর সাধে যেন বাঁধ সেধো না’’

সেই সাধ পূর্ণ করতে কম অগ্নি পরীক্ষা তো দিতে হয়নি। বাবার মৃত্যুর পর আশ্রয় ঘুচেছে। শ্বশুরবাড়ি যাবার উপায় ছিল না , সেখানে সপত্নীর রাজত্ব।দ্বারে দ্বারে ঠোকর খাওয়া, লোকের বাড়ি রাঁধুনিগিরিও করেছেন একসময়। প্রানহীন দেহ উপভোগেও যাদের বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই, তাদের পৈশাচিক উল্লাস থেকে পালিয়ে বেরিয়েছেন সারা যৌবনকাল।তাতেও কি রেহাই মিলেছিল! নাহ, নিজের দেবর পথের থেকে আশ্রয় দেবার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে, দিনের পর দিন শরীরের ক্ষিদে মিটিয়েছিল বিকৃত লালসায়। তাতে কি কোথাও তাঁর সায় ছিল? নিজের মনকে প্রশ্ন করেন বারংবার। তিনি যে লোক ডেকে দেওরের মুখোশ খুলে দেন নি, সে কি শুধু লোক লজ্জায় নাকি, ক্লান্তি? পালাতে পালাতে বড় ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন শেষে!

নিজেকেই বুঝতে ভুল হয় বারবার। পরিবারের সকলে মিলে যখন বারানসী যাওয়া হল, তখন যেন সম্বিত ফিরল তাঁর। এই তো, মা গঙ্গা, সর্বকলুষনাশিনী। মায়ের স্নেহে সুশীতল আঁচল বিছিয়ে বসে আছেন। দেবে নাকি ডুব, দেহের কারাগার থেকে চিরমুক্তি! দেবে!

নাকে মুখে জল ঢুকছে, চারিদিক শীতল অন্ধকার! আর একটু সময়, তারপরেই পাপমুক্তি! তখনই কোথায় বেজে উঠল কাঁসর ঘণ্টা! কানে এলো রথের চাকার ঘর ঘর আওয়াজ। কে যেন প্রানের সকল আকুলতা মিশিয়ে ডেকে উঠলেন,’’মণিমা-‘’

একজন প্রবীন সন্ন্যাসী নৌকা করে বারানসী আসছিলেন, তাঁর চোখে পরে বুড়বুড়ি ওঠা জলে খাবি খাচ্ছে কেউ, ভেসে উঠে মিলিয়ে যাচ্ছে হাওয়া মুঠো একটি হাত। কোন কিছু না ভেবেই ঝাঁপিয়ে পড়েন সেই সন্ন্যাসী। সেবার আর মরা হল না শ্যামার। বাঁচাও হল না বোধ হয়। দেহটা টিকে রইল শুধু, সমগ্র বাসনা কেন্দ্রীভূত হল চোখ দুটিতে, এ চোখে একবার দেখতেই হবে রথের ঠাকুর।

‘’আমায় ক্ষমা কর!’’ কম্পিত দুটি হাত জোড় করেন শ্যামা। তুমি আমার সম্মুখের পথ দিয়ে গেলে, আমি মোহনিদ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে রইলাম। লজ্জিতও হলেন খুব, তাঁর দেখা শোনা করতে গিয়ে আভা বলে মেয়েটিও বঞ্চিত হল দর্শনে। না জানি কেমন ছিল সে সোনার রথখানি, কত সুন্দর ছিল সেই রথের ধ্বজা, হাওয়ায় দুলে দুলে ফুলে উঠছিল আনন্দে , আবেগে। আজও কি সপ্ত সম্প্রদায় কীর্তনানন্দে ঘিরে ঘিরে নাচে সেই রথ! সেই সম্প্রদায়ের মধ্যমনি বিদ্যুৎবরণ সোনার মানুষ! তিনি কি আজও নেচে চলেন প্রিয়তমের রথ আবর্তনে!

চারিদিক আঁধার নেমে আসছে। বড় নরম আর সুন্দর আবেশ।প্রিয়ের আদরের মত, যে আদর কোনদিন পাননি কারো কাছে। তারার আলোর পথ বড় মোহময়, বড় সুন্দর!

আভার স্বামী ছুটতে ছুটতে বাড়ি আসে, এই প্রথম মাসির বাড়ি যাবার পথে, তাঁর বাড়ির কাছেই থেমে গেছে রথ।  নড়ানো যাচ্ছে না একটুও। এমন হয়, শুনেছে আগে, দেখেনি কখনও। আনন্দে জড়িয়ে ধরল আভাকে।

  • শিগগীর চল, আফসোস করছিলে না, দেখা হল না বলে! দেখো তো, ওঁকে ধরে ধরে বাইরে আনতে পারো কিনা! বুড়ির ভাগ্য ভালো। ভিড়ে যেতে হল না। এখান থেকেই দর্শন হবে সুন্দর!

আভা দৌড়ে এলো ঘরে। ভাড়ার ঘরের এককোণে শ্যামাকে শুইয়ে রাখা হয়েছে মেঝেতে।অসুস্থ মানুষ, বেশী নড়াচড়ায় কষ্ট। তবু শোয়ার ভঙ্গিটা বড় অদ্ভুত ঠেকল যেন, মুখে মৃদু হাসি, বুকে জড়িয়ে ধরা শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত। দুটি খোলা চোখে ভারী তৃপ্তি মেখে আছে, প্রিয়সন্দর্শনের তৃপ্তি।আভার বুক ঢিপ ঢিপ করছিল। ধীরে মাথার কাছটিতে বসলো সে।

শ্যামার নিথর হাতে তখন গন্ধরাজ ফুলের সুবাস।

‘’নাহং বিপ্রো ন চ নরপতির্নাপি বৈশ্য ন শুদ্রো

নাহং বর্ণী ন চ গৃহপতির্ন বনস্থো যতির্বা।

কিন্তু প্রোদ্যন্নিখিলরমানন্দপূর্ণামৃতাব্ধে-

র্গোপীভর্ত্তুঃপদকমলয়র্দাসদাসানুদাসঃ।।‘’

                                  শাশ্বতী রায়।

শাশ্বতী রায়।

জন্ম – উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়ায়। কর্মসূত্রে দমদম নিবাসী। শ্রীচৈতন্য কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক। ছোটবেলা থেকেই বই সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গী। বর্তমানে কাজের ফাঁকে ছোটদের পড়ানো আর লেখালিখিতে ডুবে থাকা, ভালো লাগে বেশ।‘ সেরা সপ্তপর্ণী’, ‘এবং গল্পেরা’, ‘ মলাট  কোজাগরী সংখ্যা’’ প্রভৃতি ই- বুকে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়াও ,’ভালোবাসার গল্প’, ‘ ঋক নির্ভীক’’,’বনপলাশী’, ;উত্তর যুগ’,’অনঘ’, আরও কিছু বইতে গল্প প্রকাশিত হয়েছে। ২০২২ সালের বইমেলার প্রাক্কালে প্রথম একক গল্পগ্রন্থ, ‘ ফুলেশ্বরীর পরকীয়া’ পাঠকদের আশীর্বাদ পেয়েছে, এটাই আনন্দের। আনন্দ রথযাত্রা সকলের জীবনে কৃপা বয়ে আনুক এই প্রার্থনা। জয় জগন্নাথ।

Tags: MonimaThe Indian Roverমণিমা
Previous Post

Love Shall Never Die – Neptune Barman

Next Post

জগন্নাথধাম শ্রীক্ষেত্র পুরীর রথযাত্রার ইতিহাস – শুভজিৎ তোকদার

Next Post
edit post

জগন্নাথধাম শ্রীক্ষেত্র পুরীর রথযাত্রার ইতিহাস - শুভজিৎ তোকদার

Please login to join discussion

Categories

  • Privacy Policy
  • Terms and Conditions
  • Disclaimer for The Indian Rover
  • Sitemap
  • Follow us on

© 2022 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.

No Result
View All Result
  • Home
  • Archives
    • Archives
    • The Indian Rover ( Issue: December, 2022)
    • The Indian Rover (Issue: October, 2022)
    • The Indian Rover (Issue: June, 2022)
    • The Indian Rover (Issue: March, 2022)
    • The Indian Rover (Issue: December, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: November, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: October, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: September, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: August, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: July, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: June, 2021)​
    • The Indian Rover (Issue: May, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: April, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: March, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: Feb, 2021)
    • The Indian Rover (Issue: Jan, 2021)
  • Categories
    • Finance
    • Science
    • Sports
    • Non Fiction
  • About
  • Contact Us
  • Submit Guest Post
    • Login
    • Account
    • Dashboard
  • Announcement

© 2022 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In