নবপত্রিকা - গৌতম চন্দ্র
বছরভর অপেক্ষা শেষে
মা দূর্গার আবাহন-
আশ্বিন শুক্ল ষষ্ঠী তিথিতে
অসুরনাশিনীর বোধন।
আনন্দ উদ্দীপনায়
নিশিদিন জাগরণ…
প্রকৃতির কোল খুঁজে
নবপত্রিকা আহরণ।
নবপত্রিকার নয়টি বৃক্ষলতা
দেবী দূর্গার নয়টি রূপের প্রতীক-
কৃত্তিবাসী রামায়ণে নবপত্রিকা
পূজিতা হন রামচন্দ্র কর্তৃক।
নবপত্রিকার ‘কলা’ গাছে
দেবী ‘ব্রহ্মাণী’ অধিষ্ঠানে-
‘কচু’ গাছে দেবী ‘কালীকা’
বিরাজমানা সর্বক্ষণে।
‘জয়ন্তী’র বৃক্ষশাখায়
দেবী ‘কার্তিকী’র বাস-
‘বিল্ব’ ডালে দেবী ‘শিবা’
থাকেন বারমাস।
‘ডালিম’ গাছের নরম শাখায়
অধিষ্ঠাত্রী দেবী ‘রক্তদন্তিকা’-
‘অশোক’ গাছের রঙীন শোভায়-
দেবী ‘শোকরহিতা’।
‘মানকচু’তে মা ‘চামুণ্ডা’
দেবী ‘উমা’র ‘হরিদ্রা’,
‘ধান’ গাছের সবুজ শীষে-
মা ‘লক্ষ্মী’ সুস্থিরা।
নবপত্রিকা একত্রিত
শ্বেত অপরাজিতার বেষ্টনে-
লাল পাড় শাড়ী শোভনে-
‘কলাবৌ’ গণপতির দক্ষিণে।
সৃষ্টি ও শক্তির বীজ
বসুন্ধরার বৃক্ষলতায় ব্যপ্ত-
নবপত্রিকা রূপে প্রকৃতি পূজা
মাতৃশক্তি আরাধনায় দীপ্ত।
Bio :
গৌতম চন্দ্র বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী। মশা ও মশাবাহিত রোগ নিয়ে গবেষণা করে কলকাতা স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিন ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি. এইচ. ডি. এবং পরবর্তীকালে সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.এস. সি. ডিগ্রী লাভ করেন। গত তিরিশ বছর ধরে পোস্ট গ্রাজুয়েটে পড়ানো এবং গবেষণা পরিচালনার কাজে যুক্ত। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরে তাঁর গবেষণা স্বীকৃত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা
‘শিক্ষারত্ন’ উপাধিতে ভূষিত। মশা ও মশাবাহিত রোগ দমনে নানাভাবে সমাজসেবায় নিয়োজিত। সাহিত্যচর্চা ভাললাগা ও ভালবাসার জায়গা।