শব্দহীন আলোর বেণু - রাজ কুমার দাস
বৃষ্টির ফোঁটা জানালা দিয়ে উকি দিলেও,
ভেতরের সবুজ আলো বুক চিরে আর বেরিয়ে আসে না।
হয় তো চিরকালের জন্য মৃত লাশ হয়ে গেছে নরম হাতের পেন্সিল,
যেমনটা টিফিন বক্সে বন্দী হয়েছে হজমির বিকেল।
তাই প্রাণপণে ছুটে ঘোড়ার দল তারা করার সময় এখন,
একটা ঘোড়া ধরতে পেলে , আবার সামনের টির জন্য ইশারা।
এরই মাঝে ধ্বংসস্তূপে পাওয়া যায় বায়না ধরা কচি আঙুল,
সাথে ন্যাপথলিন ও কাশফুল সমেত পালিয়ে গেছে আয়নার ওপারে ।
এখন পিঠব্যাগের বোঝা ফেরার ট্রেনের কামরা থেকে বিছানা পর্যন্তও আসে,
আঙুল দুটো তাই ভার্চুয়াল প্রেমের ছোঁয়া তেই সন্তুষ্ট,
রেডিও এর নব্ ও বইয়ের পৃষ্ঠার আদরতো সেগুলোর কাছে সোনার পাথরবাটি।
চকচকে ফ্রেমে রাজত্ব করে চলেছে এই শব্দহীন আলোর বেণু,
শেষ ঘোড়া ধরতে পাওয়ার পর যেখানে আর পা ফেলার মাটি নেই ।
আদতে এটাই হলো জোর পূর্বক বুকে গেঁথে দেওয়া দর্শন ,
“দাড়ি গোঁফ এর ঘন ভাজে চিরতরে লুকিয়ে যায় তারাবাতির স্ফুলিঙ্গ”।