
ভালোবাসায় ভর দিয়ে দাঁড়ানো, দাঁড়িয়ে জীবনটাকে ধরা।- সুভাষ মুখোপাধ্যায়
সন্ধ্যে হওয়ার পর নেশাগ্রস্ত চাঁদ আমাকে নিয়ে যায় তরলের অভিসারে।
এখন,
সমস্ত স্মৃতির কাছে নগ্ন হয়ে বসে আছি নদীর বুকে পাথর হয়ে।
দেখলাম অন্ধকার চিনিয়ে গেলো মুখোশ পরা মানুষদের।
আরো দেখলাম, অসম্পূর্ণ কবিতারা মিলিয়ে যাচ্ছে মাটির ঘ্রাণে।
আমি দেখলাম তোমার দুচোখ দিয়ে আমাকেই আমি দেখতে পাচ্ছি।
যেভাবে দেখতে পাই বৃষ্টি ভিজে যায় মুখ বুজে,
যেভাবে দেখতে পাই আগুনে পুড়ে যায় প্রতিবাদ।
এখন চোখ বন্ধ করে প্রশ্ন করবো তোমায়; বলবো,
পাইন বনে লুকিয়ে কোনোদিন শিলং পাহাড় ছুঁয়েছ ?
জানতে চাইব, আমাদের দুটি ঠোঁট শেষ কবে নৈশভোজ করেছিল মনে আছে ?
আসলে মনে রাখার মতন মনে কেউ রাখে না।
যেমন ভাবে কেউ খেয়াল করে না নদীর অশ্রু বয়ে যেতে।
যেমন ভাবে কেউ লক্ষ করে না সবুজ কামিজ পরে হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে গাছেরা।
ঠিক তেমন ভাবেই বুকের অন্ধকার ঝাউবনে চলে যায় এক অসম যুদ্ধের সাথে যুদ্ধ করে।
এখন চোখ খুলে দেখবো জীবনের সব অলীক ইচ্ছে গুলো নদীর উপর দিয়ে ভেসে যাচ্ছে,
ঘাটের পায়ের কাছে জমা হচ্ছে মায়া জঞ্জাল।
এক ফালি রোদ যখন পাঁচিল টপকে আমার কাছে আসবে, তখন নেশা চলে যাবে বকুলগাছ থেকে ছাতিমগাছে।
নেশা-ঘুম থেকে উঠে আমি হঠাৎ প্রশ্ন করবো-
কে তুমি সৃষ্টি নিয়ে শুয়ে আছো আমার বুকের উপরে ?
তুমি অলীক ! সব ঠিক করে দেওয়ার পরেও কত কি ভুল থেকে যায় তা কি তুমি জানো ?
না তুমি জানোনা কারণ, এখন সব অলীক।
সমাপ্ত